মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ:
চকরিয়া উপজেলার অন্তর্গত ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে “লালিত স্বপ্ন” সমাজিক উন্নয়ন মূলক সংগঠনের উদ্যোগে গত ১৯-০২-২২ইং প্রতিষ্টিত হয় “লালিত স্বপ্ন আদর্শ পাঠাগার”। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজ’কে উগ্রবাদ ও সহিংসতা এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মুক্ত করা সে সাথে ধর্মীয় সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা। পাঠাগারের প্রতিষ্টা লগ্ন থেকে পাঠাগারের সদস্যরা বই পৌছে দিচ্ছে পাঠকের বাড়ি বাড়ি।পাঠাগার ঘরে নিয়মিত চলতেছে পাঠচক্রও। গ্রামে পাঠক সৃষ্টির লক্ষে পাঠাগারের পক্ষ থেকে পাঠকদের জন্য রাখা হয় বুক রিভিউ ও পুরষ্কার। গত ২৩-০২-২২ইং অনুষ্টিত হয় প্রথম রাউন্ডের পাঠদের বুক রিভিউ ও পুরষ্কার বিতরণ।এসময় ২০জন পাঠক’কে পুরষ্কার সরূপ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বই এবং উগ্রবাদ ও সহিংসতা নিরসনের জন্য তাদের পাঠ করা হয় শপথ বাক্য।তারই ধারাবহিকতায় আজ ২৭ফেব্রুয়ারী অনুষ্টিত হয় দ্বিতীয় রাউন্ডের বুক রিভিউ ও পুরষ্কার বিতরণী। অনুষ্টানের শুরুতে আগত পাঠকদের শপথ বাক্য পাঠ করায় নোঙর এর প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসাইন।পরে নতুন ১৫জন পাঠক থেকে নেওয়া হয় বুক রিভিউ এবং তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মহামূল্যমান পুরষ্কার বই।বুক রিভিউ পর্যায়ে সংগঠনের প্রতিষ্টাতা আবুল কাশেম’র বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পাঠকেরা বলেন, পাঠাগার স্থাপন বর্তমান সময়ের জন্য একটি যুগ-উপযুগী যুগান্তরী পদেক্ষেপ।বই পড়ে খুব ভালো এবং সুন্দর সময় কাঠাতে পারবে এলাকার যুব সমাজ।বৃদ্ধি পাবে তাদের জ্ঞানের পরিধিও।তারা আরও বলেন, পাঠাগার স্থাপনের আগে তারা সময় কাঠাতো স্মার্ট ফোন কিংবা টিভি দেখে। এখন তাদের বই পড়ে একটা ভালো সময় পার করতে পারতেছে বলে জানান পাঠকেরা।
লালিত স্বপ্ন সংগঠনের প্রতিষ্টাতা আবুল কাশেম’র থেকে পাঠাগার স্থাপনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ হলো সমাজ থেকে উগ্রবাদ ও সহিংসতা এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূর করা, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা সে সাথে জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করা। পাঠাগার প্রতিষ্টার পর থেকে আমরা অনেকটাই সফল।এখন এলাকার প্রাই যুব সমাজ পাঠাগারে এসে বই পড়ে। ”
উক্ত বুক রিভিউ ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারী সংস্থা নোঙর এর প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ শাহাদাত হোছাইন।
উল্লেখ্য যে গত ২৫জানুয়ারী ইপসা-সিভিক কনসোর্টিয়াম কর্তৃক আয়োজন করা হয় সোস্যাল হ্যাকাতন-২০২২, যেটা বাস্তবায়নের জন্য চকরিয়াতে কাজ করতেছে বেসরকারি সংস্থা নোঙর। উক্ত হ্যাকাতনে “লালিত স্বপ্ন ” সংগঠণের পক্ষ থেকে পাঠাগার স্থাপনের ধারণাটি জমা দেন সংগঠনে প্রতিষ্টাতা আবুল কাশেম এবং প্রথমিকভাবে নির্বাচিত হয়ে ২৫জানুয়ারী ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্টিত হয় এবং সেখানে ২০টি সেরা ধারণায় স্থান পায় এই ধারণা টি। সে ধারণা বাস্তবায়নের জন্য ইপসা-সিভিক কনসোর্টিয়াম কিছু অর্থায়নও করে।
ইপসা-সিভিক কনসোর্টিয়াম এর মূল কাজ হচ্ছে “চট্টগ্রাম বিভাগের জনগনের সম্প্রীক্ততার মাধ্যমে উগ্রবাদ ও সহিংসতা নিরসন প্রকল্প”।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।